আজ ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই রক্ষণে হানা দিল বাংলাদেশ। রাকিব হোসেনের আড়াআড়ি পাস পায়ে পেলেন শেখ মোরসালিন, কিন্তু গোলরক্ষকে একা পেয়েও গোলের আনন্দে ডানা মেলতে পারলেন না তিনি। ৬০তম মিনিটে রাকিবের শট ফিরল ক্রসবার কাঁপিয়ে। শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেও দারুণ ফুটবল খেলে কুয়েতকে কাঁপিয়ে দেওয়া বাংলাদেশ পেল প্রতিপক্ষ কোচের প্রশংসা।
বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে শনিবার প্রথম সেমি-ফাইনালে শুরু থেকেই গোছালো ফুটবলের পসরা মেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের গোলে হেরে যায় হাভিয়ের কাবরেরার দল।
শুরু থেকে রক্ষণে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন তপু বর্মন, কাজী তারিক রায়হান, ইসা ফয়সাল ও বিশ্বনাথরা। পরে বদলি নামা রহমতরাও দারুণভাবে আগলে রাখছিলেন রক্ষণভাগ। গোললাইন থেকে সেভ করেছেন ইসা। পোস্টের নিচে বিশ্বস্ত দেয়াল হয়ে ছিলেন আনিসুর রহমান জিকো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কুয়েতের বিপক্ষে পেরে ওঠেনি দল।
শক্তি, সামর্থ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার দলগুলোর সঙ্গে তাদের ব্যবধান নিয়ে আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে ভারতের তারকা ফরোয়ার্ড সুনিল ছেত্রি বলেছিলেন, “কুয়েত টুর্নামেন্টে কঠিনতম দল।” তাদের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়াই করল বাংলাদেশ।
আজ ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় কুয়েত কোচ রুই বেন্তোও জামাল-জিকোদের স্তুতিতে মাতলেন। জানালেন, এমন লড়াই-ই আশা করেছিলেন তিনি। তিনি বলেন, “আমি মোটেও অবাক হইনি বাংলাদেশের খেলা দেখে। জানতাম খেলাটা খুব কঠিন হবে। ফুটবলে কোনো ম্যাচই সহজ নয়। আপনাকে চেষ্টা করতে হবে, কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সেরাটা দিতে হবে। আজকে আমাদের সেরাটা দেখা যায়নি।”
তিন আরও বলেন, “ম্যাচে কী হয়েছে সবাই দেখেছে। ম্যাচের মান যথেষ্ট ভালো ছিল। বাংলাদেশ দল ভালো লড়াই উপহার দিয়েছে। লড়াকু মানসিকতা ছিল। তবে তাদের টেকনিক্যাল স্কিল খুব ভালো সেটা বলা যাবে না। বাংলাদেশ তাদের সেরাটাই দিয়েছে।”
ভারত ম্যাচের একাদশ থেকে সাতটি পরিবর্তন এনে বাংলাদেশ ম্যাচের একাদশ সাজিয়েছিলেন বেন্তো। টানা ম্যাচ খেলার ক্লান্তি থেকে অনেককে বিশ্রাম দিতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত কঠিন পরীক্ষায় উৎরে যাওয়ার তৃপ্তিও ঝরল এই পর্তুগিজ কোচের কণ্ঠে। তিনি বলেন, “আমাদের দল আজ ভালো খেলেনি। ফুটবলারদের খেলার মতো শক্তি ছিল না, আবহাওয়া আমাদের পক্ষে ছিল না। অনেক গরম ছিল। তারপরও যা হয়েছে তাতে আমি অখুশী নই।”